মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান কপর্দকশূন্য। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা চাইছেন ভারতের অংশ হতে।” মঙ্গলবার এই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগরে প্রায় ১২১২ কোটি টাকার ২৩৩৯টি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আইনেই কাশ্মীরকে (Kashmir) শাসন করা হচ্ছে। একটা নতুন শান্তি আর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের মধ্যে চলে আসতে। কেউই আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না।”
৩৭০ ধারা রদ
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ন’ বছর আগে কেউ কি ভেবেছিলেন যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব? কেউ ভাবতে পারেননি। এবং আপনারা দেখলেন ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”
শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ
আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “আজ কাশ্মীরে কোনও হিংসা নেই। সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজনও ভারতের অংশ হতে চাইছেন। আসলে দরিদ্র পাকিস্তানের সঙ্গে কেউই থাকতে রাজি নন।” তিনি বলেন, “সেই ১৯৫২ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন দুজন প্রধান, দুটো পতাকা এবং দুটো বিধান এক দেশে থাকতে পারে না। সেই কারণে তাঁকে জীবন বলি দিতে হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”
আরও পড়ুুন: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে
মোদি জমানায় যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানান আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিকাঠামোর উন্নতি করা, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সহ সকলের উন্নতির জন্য বিগত বছরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাওবাদী, নকশালদের হিংসার ঘটনা ছিল। দেশের মধ্যে ১১৫টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল তারা। এখন সেটা কমে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ৩ থেকে ৪টি জেলায়।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংকটমোচন’ বলেও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “বর্তমানে কোনও দেশ বিপদে পড়লে ভারতের শরণ নেয়। প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হন সংকটমোচনের ভূমিকায়। ভারত বদলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বেরই মূল্যায়ন এটি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours