UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম...
Uttarakhand
Uttarakhand

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রুদ্ররূপ ধারণ করেছে উত্তরাখণ্ড। ফের তুষারধসের শিকার এই পাহাড়ি রাজ্য। দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ (Draupadi ka Danda 2) পাহাড়ে ধস নামে। সেই সময় সেখানে বহু পর্বতারোহী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেসময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তুষারধসে (UTTARAKHAND AVALANCHE) একাধিক পর্বতারোহী আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখনও অনেকে তুষার ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের উদ্ধার করে দেরাদুনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (NIM)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পর্বতারোহী দলের ২২ জন নিখোঁজ।   

আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

তুষার চাপা পড়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরা পর্বতারোহী রোহিত ভাট। 

কী হয়েছিল সেদিন? কীভাবে মুহুর্তে চলে গেল এতগুলো প্রাণ? নিজের মুখেই শোনালেন মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। রোহিত বলেন, "আমাদের খাওয়ার কিছু ছিল না। কারণ আমরা যে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা ভেসে গেছে। আমাদের যদি কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করার জন্য থাকত, তাহলে আমরা বাঁচাতে পারতাম আরও অনেককে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল সবটা হঠাৎ করেই হয়েছিল।" 
 
রোহিত আরও বলেন "যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম।"
 
উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা রোহিত নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এ অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের পাঠরত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন "মঙ্গলবার ভোর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং সাতজন প্রশিক্ষক ছিলাম। আমরা যখন ৫৫০০ মিটারে পৌঁছেছিলাম তখন তুষারধসের কবলে পড়ি। যা আমাদের গন্তব্য থেকে মাত্র  ১০০-১৫০ মিটার দূরে ছিল। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে আটটা। তুষারপাত এতটাই প্রবল ছিল যে আমরা কিছু ভাবার সময়ও পাইনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষারপাতের কারণে সবকিছু সাদা হয়ে যায়। আমাদের অনেক সহশিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন।"

আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারধস! অল্পের জন্য রক্ষা পেল কেদারনাথ মন্দির 

রোহিতের জানান, দুজন প্রশিক্ষণার্থী এবং কিছু প্রশিক্ষক একটি সামান্য উঁচু জায়গায় ছিলেন, অন্যান্য পর্বতারোহী এবং অন্যান্য প্রশিক্ষকরা তাঁদের অনুসরণ করেছিলেন। তুষারপাত পর্বতারোহীদের ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেয়। তারা ৬০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। তাতে পড়ে যান রোহিতও। তবে বরফ কাটার যন্ত্র তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল।     

রোহিত বলেন, "সেই দিন অনিল স্যার, নেগি স্যার, এসআই স্যার এবং আমি এভারেস্টার সাবিতা কানসওয়াল, নওমি রাওয়াত এবং দুই প্রশিক্ষণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলাম। আমরা তিনজন প্রশিক্ষণার্থী পর্বতারোহী এবং স্কিইং বিভাগের একজনকে তুষারধসের স্থান থেকে উদ্ধার করি।"

তিনি জানান আহত পর্বতারোহীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করে এনআইএম। তিনি বলেন, "পরের দিন সকালে, আইটিবিপি কর্মীরা আমাদের তাদের বেস ক্যাম্পে এয়ারলিফট করে এবং তারপরে আমাদের উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।"   

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles