DA Protest: “আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিক্ষা চাইতে যাই না”, ববিকে পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা

ফিরহাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও।
DA_Protest
DA_Protest

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার (DA Protest) দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ধর্নার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে পেন ডাউন কর্মসূচিও পালন হচ্ছে। আন্দোলনের আগুনে কিছুটা ছাই চাপা দিতে ৩% ডিএ- র ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও কমানো যায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ। বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র (DA Protest) ফিরহাদ হাকিম বলেন, "না পোষালে ছেড়ে দিন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী হয়ে যান।" এই মন্তব্যের জেরে বুধবার কলকাতা পৌরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান পৌরসভার কর্মীরা। তাঁরা বলেন, "ববি হাকিমের মন্তব্যের প্রতিবাদে পুরসভার কর্মীরা পেন ডাউন করেছি। আমরা যোগ্যতার মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। উনি তো ক্যাবিনেট মন্ত্রী, ওনার যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন বিধানসভায় বিল আনতে। যে বিলের মাধ্যমে বলুক রাজ্য যে কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারবে না সেই কর্মচারীদের কেন্দ্র নিয়ে নেবে। আর ওনারা যা দুর্নীতি করেছেন কলকাতা পৌরসভায় সমস্ত নথি আছে আমাদের কাছে।"

ফিরহাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। তাদের সাফ কথা, বেতন দিতে না পারলে, ফিরহাদ (DA Protest) চেয়ার ছেড়ে চলে যান। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, "আপনাকে বলছি ববিবাবু, আপনি যদি বেতন দিতে না পারেন, আপনার চেয়ারটা ছেড়ে চলে যান। কর্মচারীরা ৬০ বছর মাথা উঁচু করে থাকবে। আপনার মতো পাঁচ বছর পর পর হাতজোড় করে জনগণের কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবে না নিজের কুর্সি বাঁচানোর জন্য।" এক রাজ্য সরকারি কর্মী বলেন, "ওনার মতো গেঞ্জি পরে টাকা নিই না।"

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে আজ ভোট গণনা, কারা গড়বে সরকার?

ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষক 

এদিকে সরকারের ঘোষিত ৩ শতাংশ ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির এক স্কুল শিক্ষক। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বুধবার সাফ বলেন, “ভিক্ষার দান চাই না।” ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের বক্তব্যে বিরক্ত তিনি।

এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বলেছেন, "২০১৬ থেকে সীমাহীন বঞ্চনা এবং যে প্রতারণা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ (DA Protest) করছি। আমাদের প্রাপ্য ডিএ ৩৯ শতাংশ। সেখানে ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন। এই চাকরি আমি চটি চেটে পায়নি, নিজের যোগ্যতায় পেয়েছি। ডিএ অধিকার। অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভিক্ষার মতো ডিএ দিচ্ছে সরকার। সে জন্য আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ডিআই-কে ঘোষণাপত্র জমা দিয়েছি আমার বর্ধিত ৩ শতাংশ ডিএ দরকার নেই।" ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, "আমার স্কুলের এক জন শিক্ষক বর্ধিত ডিএ নেবেন না বলে আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন।" 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles