মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির (Dengue)। একদিনে আক্রান্ত হলেন ১০৯৪ জন৷ গত এক সপ্তাহে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৮০৷ এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ৷
এবছর এই অবধি কত জনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি৷ যদিও সূত্রমতে, ইতিমধ্যেই এই রোগে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যার মধ্যে শিশুও রয়েছে৷ এবছর এখনও অবধি রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪৫৩। গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গির সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সামনে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, আগে প্রতি সপ্তাহে আক্রান্ত হচ্ছিলেন ৩-৪ হাজার জন। এ বার এক সপ্তাহেই আক্রান্তে সংখ্যা এক লাফে সাড়ে ৬ হাজারে পৌঁছেছে। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর চব্বিশ পরগণায়৷ এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং', কালীপুজোতেও বৃষ্টিতে ভাসবে রাজ্য!
শুধুমাত্র উত্তর চব্বিশ পরগণাতেই গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬২৭ জন৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি জেলা৷ যদিও কলকাতার অবস্থা তুলনামূলক ভালো। এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
অবহাওয়ার পরিবর্তনও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ দক্ষিণবঙ্গ থেকে এখনও বর্ষা বিদায় নেয়নি৷ এখনও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে জমে থকছে জল। আর তাতেই বংশবিস্তার করছে ডেঙ্গির মশা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কালীপুজোর আগে বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ আর তাতে আরও আশঙ্কিত হচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ জোরে বৃষ্টিতে মশার ডিম বা লার্ভা নষ্ট হলেও হাল্কা বা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে জল জমে বাড়তে পারে মশা৷
ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত থাকতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গির জন্যে এমআর বাঙ্গুরে ১১৯টি শয্যা এবং বেলেঘাটা আইডিতে ৮০টি শয্যা রাখা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours