WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

চলতি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার নিতে হবে। বছর শেষে ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষের উপরে এখন ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে।
nabanno
nabanno

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নেই, ভাঁড়ার খালি। মেলা-খেলা আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে (Lakshmir Bhandar) সব টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর মাসে সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের বেতন দিতে আজ মঙ্গলবার ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করছে নবান্ন (Nabanna)। ধারের টাকা কোষাগারে ঢুকলে তবেই কোনওমতে পুজোর মাস চালাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। প্রতি মাসেই কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে ২০০০-২৫০০ কোটি ধার নিতে হয় সরকারকে। কিন্তু এক মাসে ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করার পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়েছে, তাতে সরকারের আর্থিক অবস্থা যে কাহিল হয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

নবান্ন সূত্রের খবর, চলতি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার নিতে হবে। বছর শেষে ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রতিটি মানুষের উপরে এখন ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, দানছত্রের প্রকল্পগুলি চালাতেই বছরে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ডোল বিলির বেশ অধিকাংশ প্রকল্পকেই আসলে পরিকল্পনা খাতের আওতায় এনে পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে। সেই খাতেও বেরিয়ে যাচ্ছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। ফলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সেতু, স্বাস্থ্য খাতে সে ভাবে কোনও বরাদ্দ বাড়ছে না। উল্টে কমতে শুরু করেছে। দেশের অন্য রাজ্যে করোনার সময় চালু হওয়া খরচে রাশ টানার প্রবণতা সরে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও লাগু রয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর তফসিলি জাতি-উপজাতি পেনশনেই সরকারের সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে। অন্য কিছু বন্ধ হলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) রায় থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA case) মেটাচ্ছে না সরকার। ডিএ মেটাতে হলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। তা হলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে 'বেড ফাঁকা নেই', স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল 'বিজ্ঞাপন'?

কিন্তু কর্মীদের পাওনা গণ্ডা না মিটিয়েও বেতনটুকু দেওয়া চাপের হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অর্থ দফতরে কর্তারা। তাঁদের মতে, প্রতি মাসে ধার করেই সময়ে বেতন দিতে হচ্ছে। পুজোর মাসে ক্লাব খয়রাতি থেকে অনুদানের বহর বাড়তি হওয়ায় চাপ বেড়েছে। ফলে আজ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ধার করা হচ্ছে। সেই টাকা ঢুকলে বেতন পাবেন কর্মীরা। সরকারও পুজোর খরচটা কাটিয়ে নিতে পারবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles