Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

জামাকাপড় ধুয়ে নিয়ে গিয়ে আবার সাবমার্শিবলের জলে ধুতে হচ্ছে, জল পচে গন্ধ ছড়ানোয় বিভিন্ন অসুখ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে
River
River

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের টাঙ্গন নদী (Malda River) কার্যত ধুঁকছে। নদীর স্রোত একেবারে নেই বললেই চলে। এর গভীরতাও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর জলের চারদিক কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে। এর জন্য নদী সংলগ্ন স্থানীয় মানুষদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্নানের জন্য জলে নামতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে কচুরিপানা সরিয়ে জলে ডুব দিচ্ছেন, জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করছেন।

কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

নদীতে স্নান করতে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা সন্ধ্যা সিংহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রচণ্ড সমস্যা। এতটাই সমস্যা যে বলার নয়। নদীর (Malda River) অবস্থা বেহাল। তবুও এদিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। নদীর দ্রুত সংস্কার করা উচিত। নদীতে নেমে স্নান করার মতো পরিস্থিতি নেই। জল থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতেই স্নান করতে হয়। বাড়ির কলে জল ওঠে না। তাই নদীতেই কাচাকুচি করতে হয়। জামাকাপড় ধুয়ে নিয়ে গিয়ে আবার সাবমার্শিবলের জলে ধুতে হচ্ছে। জল পচে গন্ধ ছড়ানোয় বিভিন্ন অসুখ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

কী আশ্বাস দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান?

নদীতে (Malda River) কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে অনেক সুবিধা হবে, এই আর্জি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদারকে জানানো হয়। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। অমৃতবাবু বলেন, বিষয়টি অনেকদিন ধরে নজরে রয়েছে। এমনভাবে চারদিক কচুরিপানায় ভরে গেছে যে নদীতে কেউ নামতে পারছে না। অনেকেই আমার কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যারিকেড করে দিয়েছে। তবে এমনিতেই নদীটির স্রোত একেবারেই নেই। জল অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে কচুরিপানা আটকে পড়ছে। খুব শীঘ্রই লোক লাগিয়ে কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্লকে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles