মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ফের শীতের আমেজ ফিরে এল। উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরেই রাজ্যে ফিরল শীত। একদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি নামল তাপমাত্রা। বুধবারে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে দাঁড়াল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে আরও কমতে পারে ঠান্ডা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে।
কলকাতার আবহাওয়া
বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নামল পারদ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলার পশ্চিম দিকে উত্তরপ্রদেশের কাছে যে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা অবস্থান করছিল, তার প্রভাব কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েক দিনে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নামার পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এবং কালিম্পং পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ থাকবে। ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে এর পরের দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যেতে পারে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শীতের আরও একটি স্পেল বাংলায়। ৪-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এই শীতের স্পেল। যদিও জাঁকিয়ে ঠান্ডা বা কনকনে শীতের সম্ভাবনা কম। তবে শীতের আমেজ অনেকটাই ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে।
+ There are no comments
Add yours