Covid 19: ফের দীপাবলিতে মাথা চাড়া দেবে করোনার নতুন ঢেউ?

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিনের মেনল্যান্ড এলাকায় প্রথম এই সংক্রামক স্ট্রেনের খবর পাওয়া যায়।
Omicron
Omicron

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে মেতে রয়েছে গোটা দেশ। সদ্য শেষ হয়ে দুর্গা পুজো। সামনেই আসছে দীপাবলি বা কালী পুজো। কিন্তু করোনার (Covid 19) ভয়ভীতি এক্কেবারে বিদায় নিয়েছে সকলের মন থেকে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত আরও একটি দুঃসংবাদ সামনে এসেছে। ওমিক্রনের (Omicron) নতুন দুটি সাবভ্যারিয়েন্টে সামনে উঠে আসছে-BF.7 এবং BA.5.1.7। আর এই দুই ভাইরাস সামনে আসার পরই ভয় বাড়ছে বিজ্ঞানী মহলে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে  BF.7 - এই সাবভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ভারতেই। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুটি সাবভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষজ্ঞরাও এই স্টেনগুলিকে খুবই সংক্রামক (Highly Infectious) বলে দাবি করায় চিন্তা আরও বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিনের মেনল্যান্ড এলাকায় প্রথম এই সংক্রামক স্ট্রেনের খবর পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টটিকে খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, "ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি। মনেই শীতকাল। এই সময়ে করোনা যে অনেকটাই বাড়তে পারে, এটা বুঝে নিতে হবে।" বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বেশি করে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

চিকিৎসকচিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের BF.7 এবং BA.5.1.7 প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

সামনেই দীপাবলি, তার পরেই ভাইফোঁটা। প্রসাশনের তরফে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধে কড়াকড়ি না থাকলেও, নিজেদের স্বার্থে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতেই হবে এবং সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক মানুষ, শিশু, ক্যানসারে আক্রান্তরা আছেন, তাঁরা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

আরও পড়ুন : বিদায় নিচ্ছে বর্ষা? রাজ্যজুড়ে কমল তাপমাত্রা

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০১ জন। গতকালও সংখ্যাটা কমবেশি একইরকম ছিল। তবে সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। দেশের সক্রিয় করোনা রোগী বর্তমানে ২৬ হাজার ৬২৫ জন। আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি অ্যাকটিভ কেস। 

ভারতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯৫ জন। মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিকভাবে দেশের পরিসংখ্যানে স্বস্তি মিলেছে। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। যা আগের দিন ছিল ১৬৬। অর্থাৎ সংক্রমণ খানিকটা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১, ১৬, ৮৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মোট মৃত্যু ২১, ৫১৬। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles