মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পিছু হটলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো (William Ruto)। দেশজুড়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ- সংঘর্ষের পর তিনি জানান, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই বিলে কেনিয়দের কোনও সায় নেই। আমি বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছি।” বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটিকে তিনি আইনে পরিণত করবেন না বলেও জানান রুতো।
কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল (William Ruto)
সম্প্রতি কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল আনার কথা ঘোষণা করে কেনিয়া সরকার। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। মঙ্গলবার রাজধানী নাইরোবিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা (William Ruto)। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভয়ে সংসদ ভবন ছেড়ে পালিয়ে যান সাংসদরা। গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনাও। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর। আন্দোলনকারীদের মতে, এই বিল পাশ হলে দেশবাসীর দুর্দশা আরও বাড়বে। এদিকে, বুধবার সংসদের অধিবেশন বয়কট করেন বিরোধীরা।
ব্যাপক বিক্ষোভ
জানা গিয়েছে, নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নাইরোবির পাশাপাশি বিক্ষোভ চলছে মোম্বাসা, এলডোরেটেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি। ঘোষণা করেন, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহারের কথা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও এরকমই এক আইন পাশ করে বেতন ও বাড়িভাড়ার ওপর কর বসানো হয়েছিল। কেনিয়া সরকারের দাবি, এই কর বসানো হলে অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব হত।
আর পড়ুন: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র
করোনা অতিমারী, ইউক্রেন যুদ্ধ, পর পর দুবছরর দেশে খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন-সহ নানা ধাক্কায় কার্যত বেসামাল কেনিয়ার অর্থনীতি। অর্থনীতির এই বেহাল দশা থেকে বেরতেই একের পর এক আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে কেনিয়া সরকার। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অকালে প্রাণ হারান কেনিয়ার ২২ জন নাগরিক (William Ruto)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours