Winter Disease: অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শীতের আমেজে ছন্দপতন ! সতর্ক না হলেই বড় বিপদ 

ডিসেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রার ওঠানামা! কী সমস্যা ডেকে আনছে?
Dakshin_Dinajpur_(3)
Dakshin_Dinajpur_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খামখেয়ালি মেজাজ বাড়াচ্ছে ভোগান্তি‌। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছিল। শহর থেকে জেলায় শীতের আমেজ চলে এসেছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই ছন্দপতন। তাপমাত্রার পারদ বাড়ে। সঙ্গে ঘাম আর অস্বস্তি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, অন্ধ্র উপকূলের নিম্নচাপের জেরেই আবহাওয়ার এই মেজাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হালকা শীতের আমেজের মাঝে এরকম হঠাৎ ঘাম আর অস্বস্তিকর আবহাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক (Winter Disease)। তাই বাড়তি সতর্ক না থাকলে বিপদ বাড়বে।

কাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য এই আবহাওয়া বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল কিংবা রাতের দিকে ঠান্ডা, অথচ সন্ধ্যা বা দুপুরে ঘাম হচ্ছে, এর জেরে একাধিক ভাইরাস বাতাসে শক্তিশালী হচ্ছে। তাই জ্বর, সর্দির মতো সমস্য দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, যাদের শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই আবহাওয়া একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই আবহাওয়ায় শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কাশি হলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশেষত শিশুদের কাশি হলে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর সংক্রমণের সমস্যা ফুসফুসের গুরুতর সঙ্কট তৈরি করে (Winter Disease)। নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। শ্বাসনালীর সংক্রমণ শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের পাশাপাশি যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির অসুখে ভুগছেন, এই আবহাওয়ায় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

কীভাবে কমবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি? (Winter Disease)

চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় পোশাক নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব মোটা পোশাক এই আবহাওয়ায় অস্বস্তিকর। ঘাম হবে। তাতে সমস্যা বাড়বে। আবার পাতলা পোশাকও চলবে না। তাই পোশাক নির্বাচনে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত, কান এবং গলায় যাতে ঠিকমতো ঢাকা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এই ঠান্ডায় অধিকাংশ মানুষ আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে (Winter Disease) ভুগছেন।  অর্থাৎ, শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণ হচ্ছে। তার জেরেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরম লাগলেও একেবারেই আইসক্রিম,  ঠান্ডা পানীয় খাওয়া চলবে না। এতে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। পাশাপাশি হালকা খাবার খেতে হবে। যাতে হজমের গোলমাল না হয়। কারণ, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে বাড়ে হজমের সমস্যা। ভাইরাস ঘটিত সর্দি-জ্বর পেটের সমস্যা তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। বিভিন্ন ধরণের স্যুপ কিংবা স্ট্রু জাতীয় খাবার এই আবহাওয়ায় উপকারী বলেও জানাচ্ছেন পু্ষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সহজপাচ্য অথচ গরম খাবার এই আবহাওয়ায় খুব উপকারী। 

নিয়মিত মধু, গোলমরিচ আর তুলসিপাতা খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়বে। ফলে যে কোনও ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে (Winter Disease)।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles