মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শিক্ষা খুব বেশি কাজের নয় এমনটাই মনে করে তালিবান। তালিবান (Taliban) শাসনে আফগানিস্তানে, সে দেশে নারী শিক্ষা এবং নারী অধিকারের বিষয়ে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করার অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যে। একসময় নারী শিক্ষার প্রশ্নেই মালালা ইউসুফাকে গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছিল তালিবানদের (Taliban) হাতে। বর্তমানে সে দেশে তালিবানের (Taliban) তরফে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন এবং চাকরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কী বললেন তালিবান (Taliban) মুখপাত্র
তালিবানদের (Taliban) মুখপাত্র যায়বুল্লাহ মুজাহিদন, এক বিবৃতিতে বলেন যে ইসলামিক আইন লঙ্ঘন হবে এমন কোন কাজের অনুমতি তালিবানরা (Taliban) দেবেনা তাই এই সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে সবটাই ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী হবে। শরিয়ত আইন অনুযায়ী সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রিত হবে দেশে এবং সেখানে যা যা অধিকারের কথা বলা হয়েছে নারীদের সম্পর্কে শুধু সেটুকুই দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে সে দেশে যে কোন এনজিওতে মহিলাদের কাজ করা যাবেনা বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী নিন্দাও করা হয়েছে এই ঘটনার।
তালিবানি (Taliban) সিদ্ধান্তে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, রাষ্ট্রসংঘ সহ আরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তালিবান (Taliban) সরকারকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
দুদিন আগে ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের ১১টি দেশ আফগানিস্তানের প্রশাসনকে নারীদের উপর এমন বিধিনিষেধকে অপসারনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। প্রতিটি দেশের তরফে বলা হয়েছিল যে নারীদের শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংগঠন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন বলছে যে তালিবান (Taliban) যে শরিয়তের কথা বলে নারীদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে সেটি সর্বৈব মিথ্যা এবং ইসলাম এই ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours