মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সব থেকে বড় এবং উঁচু মন্দির তৈরি হচ্ছে বাংলার (West Bengal) মায়াপুরে (Mayapur)। বিশ্বের সব থেকে উঁচু গম্বুজ থাকবে এই মন্দিরেই। ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষের অত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে এই মন্দির।
বিশ্বের এই বৃহত্তম ধর্মীয় স্থাপত্যটি তৈরি হচ্ছে নদীয়ার মায়াপুরে। নাম দেওয়া হয়েছে বৈদিক তারামণ্ডল মন্দির (Vedic Planetarium)। আগে ২০২৩ সালে এই মন্দির উদ্বোধনের কথা থাকলেও কোভিডের কারণে পিছিয়ে যায় কাজ। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যেই এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে যাবে। এই মন্দির পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: ভারতের ধনীতম গণপতি! ৩১৬ কোটি টাকার বিমায় সুরক্ষিত মুম্বইয়ের এই গণেশ, আওতায় ভক্তরাও!
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপত্য কম্বোডিয়ার আংকর ভাট মন্দির। কিন্তু এই মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পরে শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাই। তাজমহল, ভার্টিক্যান সিটির সেন্টপলস ক্যাথিড্রালের থেকেও উঁচু হবে এই মন্দিরের চূড়া।
এই বৈদিক তারামণ্ডলে বৈদিক কসমোলজি ইনস্টিটিউট থাকবে। এখানে বৈদিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।
১০ কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির। একসঙ্গে ১০ হাজার ভক্ত থাকতে পারবেন এই মন্দিরে।
আরও পড়ুন: উল্লা কাণ্ডা, পৃথিবীর উচ্চতম স্থানে অবস্থিত কৃষ্ণ মন্দির
এই মন্দিরটির নেতৃত্বে থাকবেন আলফ্রেড ফোর্ড। বিখ্যাত ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির ভবিষ্যত মালিক তিনি। ইসকনে যোগদানের পর ১৯৭৫ সালে নিজের নাম পরিবর্তন করে অম্বরীশ দাস রাখেন৷ মন্দির তৈরির জন্যে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি।
ভিয়েতনাম থেকে আনা মন্দিরটি নীল বলিভিয়ান মার্বেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। এই মন্দিরটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন আচার্য প্রভুপাদ। বৈদিক বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্ল্যানেটেরিয়ামে একটি বিশাল ঘূর্ণায়মান মডেল থাকছে। এটি ভগবত গীতা, পুরাণের মতো পবিত্র গ্রন্থে বর্ণিত বিষয়গুলিকে চিত্রায়িত করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours